কলকাতা পৌরসভার মাসিক অধিবেশনে কড়া পদক্ষেপ মেয়র সাহেবের
স্মৃতি সামন্ত

মধ্য কলকাতার অনেক বাজারেই  শহরের মধ্যে অনেকটা জায়গা জুড়ে আনপ্লান সিটির মতো গড়ে উঠেছে। কলকাতা ও পুরনো কলকাতার বেশ কিছু বাজার আছে যেখানে রাস্তাগুলো খুব শুরু। সেই সময়ে হয়তো ঠিক ছিল কিন্তু আজ খুব সমস্যার কারণ। যার কারণে আগুন লাগলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা ছড়িয়ে পড়ে।
দমকল দপ্তরকে বলা হয়েছে সমস্ত বাজারের ফায়ার অডিট করে কোথা দিয়ে দমকল ঢুকবে বেরোবে সেগুলো ঠিক করা। বাজারের জন্য, বাজারে দোকানের জন্য হোটেল রেস্টুরেন্ট এর জন্য আমরা একটা এসওপি ঠিক করেছি। তার মধ্যে এই সমস্ত কিছু থাকবে। ফায়ার থেকে যে নির্দেশ আসবে… পুরসভা সেই মতো কাজ করবে। কোথায় পার্মানেন্ট পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে হবে, কোথায় ডিপ টিউবওয়েল, কোথায় রিজার্ভার করতে হবে।

পুরসভার অনেক অফিসেই দীর্ঘক্ষন এসি চলে, পাখা চলে। অনেক সময় ওভার হিট হয়ে শট সার্কিট এর ঘটনা ঘটতে পারে। যাতে ওভারিট হলেই আর শর্ট সার্কিট না হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রিপ হয়ে যায় সেই ব্যবস্থার জন্য ইলেকট্রিক বিভাগকে বলা হয়েছে। সুইচগুলো যাতে অটোমেটিক ট্রিপ হয়ে যায়, সেই ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছে।।
তাড়াতাড়ি আগুন নেভানোর জন্য
বিকল্প জলের ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। এখন জল সরবরাহ অনেক হয়েছে আগের থেকে বেড়েছে। পুরসভার পরিশ্রুত পানীয় জল ব্যবহার করা যেতে পারে সব জায়গাতে এখন পৌঁছে গেছে এছাড়াও জলাধার তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় জল সঞ্চয় করে রাখা হবে। যাতে সেখান থেকে জল স্প্রিঙ্ক্লার হিসেবেও আগুন নেওয়াতে ব্যবহার করা যেতে পারে।। গঙ্গাজল স্প্রিংকলার এ ব্যবহার করা যায় না নজেল গুলো জাম হয়ে যায়। এখন অনেক আধুনিক ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম হয়েছে। কিছু মানুষের অসাবধানতা এবং অত্যধিক এসির ব্যবহারে আগুন বেশি লাগছে। দমকল আমাদের যেভাবে বলবে আমরা সেই ভাবে নিজেদের প্রস্তুত রাখবো।

বাজারের ডিজিটাল ম্যাপ।
কলকাতা শহরের অনেকগুলো বাজারই পুরসভার কিন্তু এমন কিছু বাজার আছে যেগুলো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। পুরসভা বাজারের সমস্ত তথ্য আমাদের রয়েছে। দমকল যেভাবে বলবে সেই মত কাজ হবে। কিন্তু ব্যক্তি মালিকানাধীন বাজারগুলোতে অনেক সমস্যা রয়েছে আমরা অনুরোধ করছি এইভাবে করুন সংস্কারের কাজ কিন্তু শরীর কি ঝামেলায় সেগুলো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক জায়গায় ভারাটের প্রবলেম রয়েছে। সাম্প্রতিক যদুবাবুর বাজারের ওনাররা এসেছেন। অনেক শরিক রয়েছে ওরা চাইছে পুরসভার সঙ্গে জয়েন্টলি ডেভলপ করার জন্য। কিন্তু এরকম অনেক বাজার আছে যেগুলোতে পুরসভা নোটিশ দিয়ে বাজার বন্ধ করে দিতে পারে কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। কারো ব্যক্তিগত প্রপার্টিতে তো আমরা হাত দিতে পারি না।

মধুসূদন দত্তের বাড়ি সংস্কারের অভাবে এক দিক ভেঙ্গে পড়ছিল। হস্তান্তর হচ্ছিল, আমরা পৌরসভা থেকে আটকে দিয়েছি। যেখানে যেমন অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে। *প্রোমোটিং করতে আমরা দিচ্ছি না।

মধুসূদন দত্ত অনেকগুলো বাড়িতে ছিলেন। মনে হয় তিনটে বা চারটে বাড়িতে ছিলেন; ভাড়া থাকতেন তো! কোন কোন বাড়িতে থাকতেন, সেটা ডিটেলস আমাদের কাছে নেই। আমরা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলেছি। অনুরোধ করা হয়েছে, আইডেন্টিফাই করে দিন।
খিদিরপুরের রোডের ওপরের যে বাড়িটা কালমার্কস সরণিতে,
ওই বাড়িতে কাজ আপাতত আমরা বন্ধ রেখেছি। কোনো প্ল্যান স্যাংশন দিচ্ছি না। একটা নরমাল পোরশন ওই বাড়িটার সামনের দিকে ভেঙে পড়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *