এন এন এস [কলকাতা] ২৮শে জুলাইঃ ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অতি সক্রিয় পশ্চিমবঙ্গের গেরুয়া শিবির। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি রাজ্যসভার সাংসদ শমিক ভট্টাচার্য্য তার সাংগঠনিক টিম তৈরিতে সক্রিয়। আদি-নব্য দ্বন্দ্ব, সংঘাত মিটিয়ে নতুন রাজ্য কমিটিতে বিজেপির আদি শিবিরের পাশে তৃণমূল, কংগ্রেস, সি পি এম থেকে আসা নেতাদের মধ্যে সমতা বজায় রেখে নতুন টিম গড়া হচ্ছে। যদিও সবতাই হবে উত্তর কলকাতার কেশব ভবনের আর এস এস নেতৃত্বের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর।
দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) অভিতাভ চক্রবর্ত্তীর পরিবর্তে আর এস এস নতুন কাউকে এই পদে আনতে চলেছে। রাজকমল পাঠক, রীতেশ তেওয়ারী, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসুদের আবার নতুন রাজ্য কমিটিতে আসা নিশ্চিত। দলের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মন, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বহাল থাকলেও, অন্য দায়িত্বে সরানো হচ্ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়দের। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে দলের মুখ্য মুখপাত্র করা হচ্ছে। মুখপাত্রদের মধ্যে কেয়া ঘোষ, রাজর্ষি লাহিড়ী, তরুণজ্যোতি তেওয়ারি, শংকুদেব পান্ডা, দেবজিত সরকাররা থেকে যাচ্ছেন।
জনতা যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা সহ একাধিক ফ্রন্ট সংগঠনে বদল আসছে। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, শংকর ঘোষ প্রমুখরা সাধারণ সম্পাদক পদে আসনে বলেই খবর।
প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের আস্থাভাজনদের ও নতুন রাজ্য কমিটিতে রাখা হচ্ছে। একই ভাবে বিরোধী-দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শমত নব্য শিবিরের অর্জূন সিং, জিতেন্দ্র তেওয়ারি, সজল ঘোষ, তাপস রায়, শংকর ঘোষ, খগেন মূর্মূ, নিশীথ প্রামানিক প্রমুখদেরও গুরু দায়িত্বে আনা হচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে উত্তর কলকাতার তাপস রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলের প্রচারে মিঠুন চক্রবর্ত্তী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখদের ব্যবহারের প্রস্তাবও রয়েছে। তবে শমিক ভট্টাচার্য্যের আমলে যে অতি সক্রিয়তার সাংগঠনিক মেশিনারি গরে তুলতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিরিয়াস তা বোঝা যাচ্ছে। তবে নতুন সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে শেষ কথা যে আর এস এসই বলবে তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

